Saturday, January 16, 2016

Today 2nd 1971

Today 2nd 1971

  • মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নতুন কোম্পানি 'সি-কোম্পানি' নাম ধারণ করে নায়েক সুবেদার হাজী মুরাদ আলীর নেতৃত্বে পাকবাহিনীর অমরখানা ঘাঁটির সন্নিকটে একটি প্রতিরক্ষা ঘাঁটি নির্মাণ করে।
  • সকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কামান ও মর্টারের সাহায্যে রামগড়ে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের চট্টগ্রাম সেক্টরের সদর দপ্তরে দু'ধারা আক্রমণ চালায়। সারাদিন যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা রামগড় ত্যাগ করে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের সাবরুমে অবস্থান নেয়। পাকসেনারা রাতে রামগড়ে প্রবেশ করে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো নারকীয় কর্মকাণ্ড চালায়।
  • মুক্তিযোদ্ধারা কিশোরগঞ্জে অবস্থানরত পাকবাহিনীর উপর তীব্র আক্রমণ চালায়। অপরদিকে পাকবাহিনী কিশোরগঞ্জ থেকে দশ মাইল দূরে অবস্থিত বিরল নামক স্থান থেকে দূরপাল্লার আক্রমণ চালায়। ভারত সীমান্তের রাধিকাপুর নামক স্থানের শরণার্থী শিবিরে পাকবাহিনী বোমা নিক্ষেপ করে। এতে একজন নিহত ও অনেকে আহত হয়।
  • মুক্তিযোদ্ধাদের তেলিয়াপাড়া এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার তৎপরতার প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যাপ্টেন মতিন ক্যাপ্টেন সুবেদার আলী ভুইয়া, একজন নবাগত অফিসার ও তাঁর দল নিয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে সাহাজিবাজার পৌঁছান। ক্যাপ্টেন মতিনের কাজ হচ্ছে শত্রুপক্ষের চলাচল-পথে অ্যামবুশ করা।
  • পিরোজপুরে সিরাজ শিকদার গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির সভানেত্রী জাহানারা বেগম (সিরাজ শিকদারের স্ত্রী), শাহনেওয়াজ প্রধান কমান্ডার, মুজিব গণসংযোগ ও মাহতাব সদস্য নির্বাচিত হন। ঘাঁটি এলাকাকে কয়েকটি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
  • ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশের আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪২৮ জন।
  • লে. জেনারেল টিক্কা খান বরিশাল ও ফরিদপুর সফর করেন। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের আরো সক্রিয়ভাবে দুষ্কৃতকারীদের দমন করার ব্যাপারে তৎপর হবার নির্দেশ দেন।
  • পাকিস্তানে নবনিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মি.এইচ. সারাবুর্ক পাকিস্তানের প্রতি তার সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে ঘোষণা করেন।
  • মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হানাদার বাহিনীর পক্ষে শেরে বাংলার মেয়ে রইসি বেগম এক বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী ও ভারতীয় দালাল আমাদের স্বাধীনতা ও সংহতি বিপন্ন করে তুলেছিলো। কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনী শত্রুর সে চেষ্টা সফল হতে দেয় নি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, আমরা প্রতিশোধ নিতে জানি। শত্রুদের আমরা রুখবোই।
  • শান্তি কমিটির উদ্যোগে খুলনায় এক সভায় সবুর খান বলেন, কতিপয় ব্যক্তি ব্যতীত 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ' পাকিস্তানিরা প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা কোনো মতবাদই নয়। বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে। পাকিস্তানকে আমরা ধ্বংস হতে দিতে পারি না। আমরা সবাই পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদের পক্ষে। জীবন দিয়ে হলেও আমরা পাকিস্তানকে রক্ষা করবো।

Tuesday, January 12, 2016

LIBERATION OF 1971

Younger men and adolescent boys, of whatever social class, were equally targets. According to Rounaq Jahan, “All through the liberation war, able-bodied young men were suspected of being actual or potential freedom fighters. Thousands were arrested, tortured, and killed. Eventually cities and towns became bereft of young males who either took refuge in India or joined the liberation war.” Especially “during the first phase” of the genocide, he writes, “young able-bodied males were the victims of indiscriminate killings.” (“Genocide in Bangladesh,” in Totten et al., Century of Genocide, p. 298.) R.J. Rummel likewise writes that “the Pakistan army [sought] out those especially likely to join the resistance — young boys. Sweeps were conducted of young men who were never seen again. Bodies of youths would be found in fields, floating down rivers, or near army camps. As can be imagined, this terrorized all young men and their families within reach of the army. Most between the ages of fifteen and twenty-five began to flee from one village to another and toward India. Many of those reluctant to leave their homes were forced to flee by mothers and sisters concerned for their safety.” (Death By Government, p. 329.) Rummel describes (p. 323) a chilling gendercidal ritual, reminiscent of Nazi procedure towards Jewish males: “In what became province-wide acts of genocide, Hindus were sought out and killed on the spot. As a matter of course, soldiers would check males for the obligated circumcision among Moslems. If circumcised, they might live; if not, sure death.”
Robert Payne describes scenes of systematic mass slaughter around Dacca (Dhaka) that, while not explicitly “gendered” in his account, bear every hallmark of classic gender-selective roundups and gendercidal slaughters of non-combatant men:

Friday, November 26, 2010

ABOUT BONGOBONDHU

ডাক নাম:       শেখ মুজিবুর রহমান,
জন্ম তারিখ:    মার্চ ১৭, ১৯২০
জন্ম স্থান:       টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ জেলা,
মৃত্যু তারিখ:    ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫
মৃত্যু স্থান:      ঢাকা, বাংলাদেশ ।
আন্দোলন:   বাংলা ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন.
স্মরণীয় অর্জন:    জুলিও কুরি পুরস্কার[১]
দাম্পত্য সঙ্গী:    বেগম ফজিলাতুন্নেসা


১৯৭০ এর নির্বাচন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ

১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।পূর্ব পাকিস্তানের কোটার ২ টি আসন ছাড়া বাকি সবগুলোতে জয়ী হওয়ার জন্য জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও অর্জন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের ফলাফল পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে মেরুকরণ সৃষ্টি করে। পশ্চিম পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো, মুজিবের স্বায়ত্বশাসনের নীতির প্রবল বিরোধীতা করেন। ভুট্টো এ্যাসেম্বলি বয়কট করার হুমকি দিয়ে ঘোষণা দেন যে, ইয়াহিয়া খান মুজিবকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানালে তিনি সে সরকারকে মেনে নেবেন না।
                   রাজনৈতিক অস্থিশীলতার মধ্যে ইয়াহিয়া খান সংসদ ডাকতে দেরি করছিলেন। বাঙালিরা এতে বুঝে ফেলে যে, মুজিবের দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া স্বত্ত্বেও সরকার গঠন করতে দেয়া হবে না।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে মুজিব স্বাধীনতার ডাক দেন এবং জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করেন।ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারি করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং মুজিবসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক ও জনসাধারণের অসন্তোষ দমনে ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে। সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরু হলে, মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।মূল ঘোষণার অনুবাদ নিম্নরূপ:

    "এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক"।

মুজিবকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফয়সালাবাদের একটি জেলে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়। পাকিস্তানি জেনারেল রহিমুদ্দিন খান মুজিবের মামলার পরিচালনা করেন। মামলার আসল কার্যপ্রণালী এবং রায় কখনোই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় নি।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরিচালিত অভিযান অল্প সময়ের মধ্যেই হিংস্রতা ও তীব্রে রক্তপাতে রূপ নেয়। রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালি বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদ ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করে। বাঙালি ও অবাঙালি হিন্দুদেরকে লক্ষ্য করে বিশেষ অভিযানের কারণে সারা বছরজুড়ে প্রচুর হিন্দু জনগোষ্ঠী সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম বঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ও পুলিশ রেজিমেণ্টে কর্মরত পূর্ব বাংলার সদস্যবৃন্দ দ্রুত বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং লীগ সদস্যবৃন্দ কলকাতায় তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্ব প্রবাসে বাংলাদেশ সরকার গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তি বাহিনীর নেতৃত্ব বড় রকমের বিদ্রোহ সংঘটিত হতে থাকে। আন্তর্জাতিক চাপ থাকা স্বত্ত্বেও পাকিস্তানি সরকার মুজিবকে ছেড়ে দিতে এবং তাঁর সাথে সমঝোতা করতে অস্বীকৃতি জানায়।

যুদ্ধবর্তী সময়ে মুজিবের পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। তাঁর সন্তান শেখ কামাল মুক্তি বাহিনীর একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসার ছিলেন। মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তান বাহিনীর ভিতরে সংঘটিত যুদ্ধটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সরকারের অংশগ্রহণের পর, পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ দলের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং লীগ নেতৃবৃন্দ ঢাকায় সরকার গঠন করেন। পাকিস্তানি শাসকবৃন্দ মুজিবকে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তিদান করে। এরপর তিনি লণ্ডন হয়ে নতুন দিল্লিতে ফিরে আসেন এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী’র সাথে সাক্ষাতের পর জনসমক্ষে “ভারতের জনগণ, আমার জনগণের শ্রেষ্ঠ বন্ধু” বলে তাঁকে সাধুবাদ জানান।তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। গান্ধীর সাথে সেদিন তিনি ঢাকায় জড়ো হওয়া প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের সামনে বক্তৃতা দেন।
                    শেখ মুজিবর রহমান অল্পদিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭০ এ নির্বাচিত রাজনীতিবিদরা নতুন রাষ্ট্রের অন্তর্বর্তী সংসদ গঠন করেন। মুক্তি বাহিনী এবং অন্যান্য মিলিশিয়াদের নিয়ে নতুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠিত হয় এবং ১৭ মার্চ ভারতীয় বাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নেয়।বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভের পর মুজিব জাতিসংঘ ও জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিশ্চিত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে ভ্রমণ করে বাংলাদেশের জন্য মানবীয় ও উন্নয়নকল্পের জন্য সহযোগিতা চান। তিনি ভারতের সাথে একটি বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করেন যাতে অর্থনৈতিক ও মানব সম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক সাহায্যের আশ্বাস দেয়া হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারী কর্তা ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। মুজিব ইন্দিরা গান্ধির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন।মুজিবের জীবদ্দশায় দুই সরকারের মধ্যে পারষ্পরিক সমঝোতা ছিল।
                    মুজিব তার অন্তর্বর্তী সংসদকে একটি নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব দেন এবং চারটি মূলনীতি হিসেবে “জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র” ঘোষণা করেন । মুজিব শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি রাষ্ট্রীয়করণ করেন এবং ভূমি ও মূলধন বাজেয়াপ্ত করে ভূমি পূনর্বণ্টনের মাধ্যমে কুষকদের সাহায্য করেন। ১ কোটি শরণার্থীর পূণর্বাসনের জন্য বড় পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর ফলে অর্থনৈতিক সংকট কমে যেতে শুরু করে এবং দুর্ভিক্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। ১৯৭৩ সাল থেকে সংবিধান কার্যকর করা হয় এবং ১৯৭৩ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মুজিব ও তাঁর দল নিরঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা, স্যানিটেশন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পানি ও বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি ঘটান। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনায় কৃষি, গ্রামীণ অবকাঠামো ও কুটির শিল্পে রাষ্ট্রীয় অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দেয়া হয়।

Thursday, November 25, 2010

BONGOBONDHU MUKTIJUDHO




DHANMONDI, HOURS NO-32
It all started with Operation Searchlight, a planned military pacification carried out by the Pakistan Army started on 25 March, 1971 to curb the Bengali nationalist movement by taking control of the major cities on March 26, and then eliminating all opposition, political or military, within one month. Before the beginning of the operation, all foreign journalists were systematically deported from Bangladesh. The main phase of Operation Searchlight ended with the fall of the last major town in Bengali hands in mid May.

According to New York Times (3/28/71) 10,000 people were killed; New York Times (3/29/71) 5,000-7,000 people were killed in Dhaka;
The Sydney Morning Herald (3/29/71) 10,000 – 100,000 were killed; New York Times (4/1/71) 35,000 were killed in Dhaka during operation searchlight.                                                  

The operation also began the 1971 Bangladesh atrocities. These systematic killings served only to enrage the Bengalis, which ultimately resulted in the secession of East Pakistan later in December, 1971. The international media and reference books in English have published casualty figures which vary greatly; 200,000–3,000,000 for Bangladesh as a whole.


There is only one word for this: Genocide.


 
google1f24022e60b1dcf0.html